ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরশুরাম মডেল সরকারি পাইলট হাই স্কুলে ছাত্র ছাত্রীরা ছাতা মাথায় দিয়ে চলছে পাঠ দান।
একদিকে ঝুঁকি পূর্ণ টিন সেট। অন্য দিকে বৃষ্টি আসলেই ছাতা মাথায় দিয়ে শ্রেনী কার্যক্রম চলে।যে সকল ছাত্র ছাত্রীর ছাতা নেই তারা যতক্ষণ পর্যন্ত বৃষ্টি হয় ততক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজে ক্লাস করতে হয়। বই খাতা বৃষ্টিতে ভিজে যায়।বিঘ্নিত পাঠদান এই টিন সেটে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ক্লাস কার্যক্রম চলে।হল রুমে সংকট থাকায় ১৮০ জন ছাত্র ছাত্রী ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতে হয়। এছাড়াও পরশুরাম সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার প্রতিবছর প্রায় ১৫০০ ছাত্র ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এই ঝুঁকি পূর্ণ টিন সেটে যেকোনো সময় দূর্ঘঠনা ঘটতে পারে।পরশুরাম উপজেলায় প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে শীর্ষ স্থানে ফলাফল অর্জন করে পরশুরাম মডেল সরকারি পাইলট হাই স্কুল।তারই ধারাবাহিকতায় ২০২২ ইং এসএসসি পরীক্ষায় ১৭৪ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে।১৫১ জন সফলতা অর্জন করে ৩১ জন (এ+) পেয়েছে। কিন্তু বিশ্ব মহামায়া করোনা প্রাদুর্ভাবের কারনে এই শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। তার পরে-ও সম্মানিত শিক্ষক দের সার্বিক সহযোগিতায় পরশুরাম সরকারী মডেল হাইস্কুল ফলাফল দিক উপজেলায় শীর্ষে।
যা পরশুরাম উপজেলা সফলতায় শীর্ষে।পরশুরাম সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান চৌধুরী (আসিফ) স্যার প্রতিবেদনকে জানান, সদর উপজেলায় ১৯৪৫ সালে এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।কিন্তু এমন পরিবেশ কোথাও আছে আমার মনে হয় না। বিশিষ্ট সমাজ সেবক শিক্ষা অনুরাগী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম মহোদয় কে জরাজীর্ণ এই টিন সেট টি প্রত্যেক্ষ ভাবে দেখানো হয়েছে। এই ঝুঁকি পূর্ণ টিন সেট দেখে খুবই দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পরশুরাম সদর স্কুল দেখে মনে হচ্ছে যোদ্ধবিদ্ধস্থ এলাকার স্কুল। তিনি সাথে সাথে ফেনী ১ আসনের সাংসদ শিরীনা আক্তার মহোদয় কে ফোন দিয়ে পরশুরাম উপজেলা প্রাণ কেন্দ্রে সুনাম ধন্য ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা অবহিত করেন। কিন্তু সংসদ সদস্য শিরীনা আক্তার আস্বস্ত করলেও আজ পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় নি।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন পূর্ব পাশে দুতলা ভবন টি খুবই ঝুঁকি পূর্ণ। এব্যাপারে সাবেক ডিসি আবু সেলিম মাহমুদুল হাসান মহোদয় কে জানালে স্যার ডিজি মহোদয় বরাবর আবেদন করার জন্য বলেন।আবেদন করার পরে ডিসি স্যার সুপারিশ করেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় নি।
এব্যাপারে ফেনী ১ আসনের সাংসদ শিরীন আক্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানা, এই ভবন বরাদ্দের জন্য সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত বরাদ্দ আসবে। আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র মোঃ ফয়সাল বলেন, আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করতেছি।বৃষ্টি আসলে ছাতা মাথায় দিয়ে ক্লাস করতে হয়। আমাদের জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন নতুন ভবন বরাদ্দ দেওয়া জন্য। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান বলেন, আমরা সরকারি স্কুলে পড়লেও কিন্তু সুযোগ সুবিধা থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। সুন্দর মনোরম পরিবেশ পাঠদানের প্রথম শর্ত।কিন্তু আমরা তা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশে কোথাও সরকারি পাইলট হাই স্কুলে এমন অবস্থা আছে আমার বিশ্বাস হয় না।আমরা সুন্দর, নিরাপত্ত পাঠদান পরিবেশ চাই।

