পরশুরামের বক্সমাহমুদের উত্তর টেটেশ্বরে বাড়ির সামনে কলাগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি দু’পক্ষের সংঘর্ষে মোহাম্মদ উল্যাহ(৫০) নামের একজনকে পিটিয়ে মারাত্বক আহত ব্যাক্তি চট্টগ্রামের মেডিকেল কলেজ হসপিটালে ভর্তি অবস্থায় ১১.৪৫ মিনিটের সময় মৃত্যু বরণ করেছে।
নিহত মোহাম্মদ উল্লাহ টেটশ্বর মুফিজুর রহমানের বড় ছেলে
এ ঘটনায় হোসনেয়ারা বেগম বাদী হয়ে দক্ষিন টেটেশ্বর গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (২৭), আরব আলীর ছেলে শুকুর আলী (২২), মোঃ বাদশা (২৫), সুলতানের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৪) ও উত্তর টেটেশ্বর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৪৫)সহ অজ্ঞাতনামা সাত আট জনকে আসামি করে পরশুরাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনায় মামলার আসামী আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিরা পালিয়ে রয়েছেন বলে সরে জমিনে ঘুরে জানা যায়। ।
মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৫ মে সকালে আমার স্বামী মোহাম্মদ উল্যাহ বাড়ির সামনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার দেবর ও বিবাদীদেরকে সমঝোতা করার চেষ্টা করলে একপর্যায়ে বিবাদীরা তাদের হাতে থাকা লাঠি সোঠা, দেশী অস্ত্রশস্ত্র, লোহার রড, দা, লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারধর করে সারা শরীর জখম করে। তার মাথার মধ্যেভাগের হাড়ভেঙ্গে যায়।
এ ঘটনার পর আহত মোহাম্মদ উল্লাহকে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে , পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মা ও শিশু হাসপাতালের ভর্তি করার পর থেকেই তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। গত দুপুর চিকিৎসাদিন অবস্থা
এদিকে এ ঘটনার পরপরই আসামিরা ঘরবাড়ির দরজায় তালা বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন।
মোহাম্মদ উল্লাহর পরিবার ও তার ভাই আবদুর রহিম জানান, জায়গা আমাদের। সে জায়গা থেকে কলাগাছ কেটেছি। সামান্য একটি বিষয় নিয়ে আমার ভাই ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করা হয়েছে। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি তাদের।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম জানান, মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের পুলিশ চেষ্টা করছে।

