ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলায় সীমানা বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ এক নারী ও প্রবাসী শরিয়ত উল্যাহকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নারী ফেনীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলার পরও নোমান লায়লার পরিবারকে হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার বিকালে। এ ঘটনায় লায়লার দেবর আবু তাহের বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে দাগনভূঁঞা থানায় মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের জমাদ্দার বাড়িতে সীমা বিরোধের জের ধরে পেয়ার আহম্মদের ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান (২৮) এর নেতৃত্বে ১১জন সন্ত্রাসী একই বাড়ির লায়লা আক্তার (৪০) উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্বক জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত লায়লা ফেনীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলা করা হলে লায়লার পরিবারকে প্রাণনাশেরও হুমকি দিচ্ছেন নোমান। লায়লা হাসপাতালের বেড়েও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে অপরাপর হামলাকারীরা হলো একরামুল হক (২৮), শফি উল্যাহ (৫৫), আবদুল করিম (৪০), অলি উল্যাহর ছেলের অন্তর (২২), ইসমাইল, নুর নবী, ঝুমুর আক্তার (২৬), মাফিয়া আক্তার (৪০), হাসিনা আক্তার ও নাজমা আক্তার। লায়লা আক্তার ও তার স্বামী প্রবাসী শরিয়ত উল্যাহ ছাড়াও আহতরা হলেন এমদাদুল হক রাফি, আবু তাহের, আবদুল বারেক ও নুর আলম।
হামলার ঘটনাও ও হুমকি-ধমকি অব্যাহত রাখার বিষয়ে লায়লার পরিবার ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান ও পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

