শসা উৎপাদনে ময়মনসিংহের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলা।বহু বছর ধরে এ অঞ্চলে উৎপাদিত শসা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠানো হয়।
গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এবার ময়মনসিংহের ফুলপুর তারাকান্দায় শসা চাষে বেশি আগ্রহী হন কৃষকরা।ফলে গত বছরের চেয়ে বেশি জমিতে শসা চাষ করেন।ফলনও হয়েছে বাম্পার।কিন্তু দাম নিয়ে হতাশ কৃষকরা।৪ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে শসা।শসা যেন চাষীদের অনুকুলে নেই।
কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমছে না।তৃণমূল থেকে শহর পর্যন্ত এ চক্রের থাবা প্রসারিত।এর সদস্যরাই কৃষকের কাছ থেকে কম দামে শসা কিনে ভোক্তার কাছে বেশি দামে বিক্রি করছে।মাঝে বদল হয় চার থেকে পাঁচ হাত,এতেই বাড়ছে দাম।বাড়তি দাম চলে যাচ্ছে এই মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে।ফলে বঞ্চিত হয় শুধু কৃষক ও ভোক্তা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,এবার দুই উপজেলায় বিপুল পরিমাণ শসার চাষ হয়েছে।হয়েছে বাম্পার ফলন।তবে কৃষকরা জানিয়েছেন,এবার শসার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।পাইকারিতে ৪ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করছেন।এতে লাভ তো দূরে থাক।শসা চাষে এখন তাদের মাথায় হাত।
বওলা বাজার এলাকার শসার আড়তদার রতন খান ভান্ডারী বলেন,হঠাৎ করেই শসার দাম কমেছে।আমরাও ব্যবসা ঠিকভাবে করতে পারছি না,লোকসানে আছি।
সচেতন মহল জানিয়েছেন মধ্যসত্বাভোগী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট না ভাঙলে শসার দাম পাওয়া যাবেনা।এতে শত শত চাষীকে দেনার দায়ে ডুবার আশংকা দেখা দিয়েছে।

                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
								                                                                                    
                                    