এ বছর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল যে বাজেট পেশ করবেন,তার আকার ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।বিশাল উল্লম্ফন!
এত লাখ কোটি টাকার হিসাব সাধারণ মানুষের মাথার ওপর দিয়ে যায়।স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশে বহুদূর এগিয়েছে।৫০ বছরে বাজেটের আকার বেড়েছে ৭৬৬ গুণ।এই সময়কালে অসম্ভবকেই আমরা সম্ভব করেছি।
তবে কত লাখ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা হলো,সেটা সাধারণ মানুষের কাছে বড় বিষয় নয়।বড় প্রকল্প মানে বড় দুর্নীতি –এই ধারণা যে অসত্য সেটা কিন্তু প্রমাণ হয়নি।তাই বাজেটে মোটা অঙ্কের বরাদ্দ থাকলেই হবে না।
দুর্নীতি-অপচয় বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থাও থাকতে হবে।কিছু মানুষের আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার সিস্টেম বদলাতে হবে।দরিদ্র মানুষের বিপন্নতা বাড়িয়ে মুষ্টিমেয় মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দেশে সামাজিক স্থিতি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।সামাজিক অস্থিরতা উন্নয়নের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর আগেই প্রতিকারের ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।
সাধারণ মানুষ দেখতে চায়,তার প্রতিদিনের জীবন যাপনে বাজেট কী উপকারে আসছে।মানুষ কাজ চায়,নিরাপদ জীবন চায়।আয় ব্যয়ের সঙ্গতি চায়।বৈষম্যের শিকার হতে চায় না।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই,সন্তানদের শিক্ষা,সবার মুখে আহার জোগানের মতো একটি কাজ,রোগবালাইয়ে চিকিৎসার সুযোগ পেলেই সাধারণ মানুষ পরম সুখ অনুভব করবে।মানুষ কথা অনেক শুনেছে।অনেক গালভরা প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।এবার কাজে সবকিছুর প্রমাণ পেলেই তারা স্বস্তি অনুভব করবে।নতুন বাজেট সাধারণ মানুষকে কতটুকু স্বস্তি দেয়–এটাই দেখার বিষয়
একসময় বাজেট পেশের আগে আমাদের দেশের অর্থমন্ত্রীরা সাহায্যের আশায় ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বিদেশে দাতাদের দুয়ারে ধরনা দিতেন।এখন অবস্থা বদলেছে।এখন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।দেশে একদিকে ধনী বাড়ছে,একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরিবও।ধনী গরিবের বৈষম্য কমাতে আগামী বাজেট কি ভূমিকা রাখবে?এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন,কারণ মানুষ দেখতে চায়,কাজীর গরু কেতাবে নয়,গোয়ালেও থাকুক।

