ঢাকাTuesday , 21 June 2022
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অগ্নিসংযোগ
  3. অনুসন্ধান ইসলামী জীবন
  4. অনুসন্ধান ডেস্ক
  5. অন্যান্য অনুসন্ধান
  6. অপরাধ
  7. অর্থনীতি
  8. আইন আদালত
  9. আগুনে পুড়ে মৃত্যু
  10. আত্মহত্যা
  11. আন্তর্জাতিক
  12. আন্দোলন
  13. আবহাওয়া
  14. ইউনিয়ন নির্বাচন
  15. ইসলাম ও জীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জুয়া মাদক ও চুরির অভয়ারণ্য বওলা

Link Copied!

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলায় সম্প্রতি বেড়েছে চোরের উপদ্রব।কোনোভাবেই চোরদের দৌরাত্ম থামানো যাচ্ছে না।চোরেরা যেন চুরির অভয়ারণ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে এই বওলাকে।

গবাদিপশু,দোকানের মালামাল,অটোরিকশা বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার মসজিদের মাইকের ব্যাটারী কোনোকিছুই ছাড়ছে না চোরের দল।এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ করা হলেও কোনোভাবেই চোরের উপদ্রব না থামায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

৬ মাস আগে শালিয়া মোড় বাজারে শরীফ টেলিকমে দোকানের ছাউনির টিন কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে।এর কয়েক দিন পরে বওলা বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী আবু ইউসুফ রাসেলের কাপড়ের দোকান ঘরের তালা ভেঙে ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় চোর চক্র।এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হলেও আজ পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি।

এর কয়েক মাস আগে বওলা হাজী বাড়ির ডিপ মেশিনের বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার,ও জগন্নাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুলের বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার চুরি ও সুমনের বাড়ি থেকে চার্জে থাকা অটোরিকশা,ও মাছ বিক্রেতা আছির উদ্দিনের ঘরে সিদ কেটে চুরির ঘটনা ঘটে।এর কয়েক দিন পরেই বওলা বাজারের ইসলাম মিয়ার অটোরিকশা চুরি ও কলেজ মসজিদ সহ তিনটি মসজিদের ভেতরে ঢুকে মাইকের ব্যাটারি নিয়ে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরের দল।

সর্বশেষ দুই দিন আগে বওলা বাজারের এক রাতে তিন দোকানে তালা ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় প্রায় দশ লাখ টাকার মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে।

বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বলছেন,আমরা এখন অনেক ভয়ে থাকি কখন সবকিছু চুরি হয়ে যায়।অতি দ্রুত এই সংঘবদ্ধ চোরদের গ্রেফতার করা না হলে চুরি থামবে না।তাদের অভিযোগ,চুরির পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।এরপর আর খোঁজ থাকে না।সাধারণ মানুষ হিসেবে আর কী করার আছে আমাদের?নিজেরা চুরি যাওয়া মালের সন্ধান করে এক সময় থেমে যেতে হয়।

ইউনিয়নের বওলা বাজার,খালিশাপাড়া,কোকাইল বাজার হাতিবান্দা,চন্দ্রপুর,সুতিয়াপাড়া,ও বামনখিলা বাজার,খালমাঘরা বাজার সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্পটে জুয়ার জমজমাট আসর বসে।কৃষক,শ্রমিক,বিভিন্ন পেশাজীবীসহ উঠতি বয়সের যুবকরা এতে সামিল হয়।

দিনের আলোয় প্রকাশ্যে চা স্টলগুলোতে চলে মোবাইল লুডু অ্যাপসে জুয়া।আর সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত জুয়ার আসরে উড়ে হাজার হাজার টাকা,জুয়ার আসরে টাকা লগ্নি দেওয়ার জন্য আছে চিহ্নিত দাদন ব্যবসায়ী।আর এর নেপথ্যে মদদ রয়েছে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে জুয়াড়িরা তাদের খেলার ধরন বদলে ফেলেছে।বিশেষ করে প্রকাশ্যে জুয়া খেলার ক্ষেত্রে জুয়াড়িরা বিশেষ কৌশল গ্রহণ করছে।আগে টাকার স্তূপ সামনে রেখে খেলা হলেও এখন টাকা থাকে পকেটে।হিসাব রাখে খাতায়।খেলা শেষে জয়-পরাজয় অনুযায়ী টাকার ভাগবাটোয়ারা হয়।

কয়েক মাস আগে হাতিবান্ধার জুয়ারী বাবুল সহ ৮ জুয়ারীকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানোর পরের দিনই জামিনে বেরিয়ে এখনো নিয়মিত জুয়ার আসর গরম করে।বওলা বাজার এলাকা থেকে ৪ জুয়ারীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ দুই দিন পর জামিনে এসেই আবারো যেই সেই।

৫০০ পিছ ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী শরিফ সহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে খালমাঘরা বাজার থেকে গ্রেফতার করে ডিবি,তাদের ছাড়িয়ে আনতে একটি মহলের তোড়জোড় অনেকটা জোরেশোরেই।অথচ এদের হাত ধরে অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে মরণনেশা ইয়াবা।

বওলা এলাকার চিহ্নিত গাঁজা কারবারী সুমনের ক্যানসারে মৃত্যু হয়েছে দুই বছর আগে,তবুও বওলায় এখনো খুব সহজেই মিলে গাঁজা।সুমনের ঘনিষ্ঠ শিষ্য পোষ্যরা গাঁজার ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে।এদের চালচলনে মনে হয় আইন এদের বিয়াই লাগে,কোন ডর ভয় নাই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে ওই বওলাতে জুয়া ও মাদকের আসরে যুবকসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ আমোদ ফূর্তি করতে আসে।নামি-দামি মোটরসাইকেল নিয়ে যুবকদের আনাগোনা আগের চেয়ে অনেক বেশি।গভীর রাত পর্যন্ত এ আড্ডা দেখা যাচ্ছে।

জুয়ার আসর বন্ধে ফুলপুর থানা পুলিশের কঠোর নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জুয়াড়িদের যেন স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বওলা।

জুয়াড়িদের বিচরণ এবং জুয়া খেলার টাকা যোগাড় করতে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে কিশোরদের জড়িত হওয়ার বিষয়টি এখন উদ্ববেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বওলার বাসিন্দাদের কাছে।স্থানীয়দের অভিযোগ,জুয়া খেলার টাকা জোগাড়ের জন্য বেড়েছে চুরি,ও মাদকের হিড়িক।

সর্বনাশা করোনার লকডাউনে বেকার হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের লোকজন জুয়াড়ি হিসেবে খাতায় নাম লিখিয়েছে।আর উঠতি বয়সের নেশাখোর সহজে নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য মোবাইলে জুয়া খেলায় মিশেছে।যার ফলশ্রুতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়িতে প্রায়শই চোরের হানার খবর শুনা যায়।

এনিয়ে সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে অতিবিলম্বে এসব জুয়া ও মাদকের আসর ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: Content is protected !!