মধুয়াইতে অসুস্থ কামাল হোসেনের পাশে দাঁড়ালেন মানবিক সংগঠন ‘ফেনী জেলা প্রবাসী বন্ধন’।
মানবিক সংগঠনটির এডমিন এমরান হোসেন ইমাম হোসেনের নের্তৃত্বে আজ সকালে বালিগাঁও ইউনিয়নের মধুয়াই করিম বকস ভূঁঞা বাড়িতে যান ফেনী প্রবাসী বন্ধনের নেতৃবৃন্দ। সেখানে তারা মৃত গোলাম নবীর বড় ছেলে অসুস্থ প্রবাসী কামাল হোসেনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং তার ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময় মহিপালে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত কামরুল হাসান শাওনের ও শারীরিক খোঁজ খবর নেন। পরে ‘ফেনী জেলা প্রবাসী বন্ধন’র পক্ষ থেকে কামাল হোসেনের হাতে তাঁর শারীরিক চিকিৎসার জন্য নগদ ৪০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাপ্তাহিক স্বদেশপত্র পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক এন এন জীবন, ইনকিলাবের ফেনী প্রতিনিধি মো. ওমর ফারুক, আফ্রিকা প্রবাসী আবদুল্লাহ লিটন, খুরশিদ আলম, আবদুল কাদের, সাইদুল হক, মোহাম্মদ হোসেন, রুহুল আমিন, রুবেল, জামাল, মাস্টার সাহাব উদ্দিন, প্রমুখ। ফেনী জেলা প্রবাসী বন্ধন এর এডমিন এমরান হোসেন ইমাম হোসেন বলেন, এ মানবিক সংগঠনটি যেকোন দুর্যোগ, মহামারীতে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। গরীব, অসহায় ও অসুস্থ মানুষের বিপদ-আপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ভবিষ্যতে এ জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য,বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগষ্ট মহিপাল পাসপোর্ট অফিসের সামনে গুলিবিদ্ধ হয় কামরুল হাসান শাওন। ছেলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরে প্রবাসে ব্রেন ষ্টোক করেন তার পিতা কামাল হোসেন। ব্রেন ষ্টোকের কারণে কামালের হাত-পা সহ শরীরের একপাশ অচল হয়ে যায়। প্রবাসে একমাস চিকিৎসা শেষে সহকর্মী বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশে চলে আসেন তিনি। দেশে এসে তিনি অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। একদিকে নিজের চিকিৎসা অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ ছেলের চিকিৎসা এসব চিন্তা করে কামাল দিনদিন আরো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এদিকে কামালের স্ত্রী পারুল জানান, তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল তার স্বামী। ছেলে মহিপাল প্লাজায় একটি মোবাইল দোকানে কাজ করতো। এখন দু’জনই অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় ইনকামের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে অসুস্থ স্বামী ও ছেলের চিকিৎসা এবং সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তিনি সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।

