“শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ “এমব স্লোগান লিখা সংবলিত বিদ্যুৎ পরশুরাম উপজেলার ৩০ হাজার গ্রাহকের মাঝে পৌঁছে দিয়েছে পরশুরাম পল্লি বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিস। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা অনেক গ্রাহক ফ্যাসিষ্টের লাগানো লগু এবং লেখা টা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
তবে এবিষয়ে জানার জন্য সাব জোনাল অফিসের কর্মকর্তা (ডিজিএম) সনৎকুমার ঘোষ বলেন,আগের অনেক গুলো বিদ্যুৎ বিল রয়ে গেছে।ভুলের কারণে এটা আসলে ভুল হয়েছে। ভুল ক্রমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে গেছে। এটা আমি দেখব।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ মাস রাষ্ট্রীয়সহ বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে তার নাম মুছে গেলেও বাদ যায়নি পরশুরাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পরশুরাম সাব জোনাল অফিস থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেখ হাসিনার ভুয়া উন্নয়নের প্রচার এখনো অব্যাহত রয়েছে। এর একমাত্র কারণ ছাত্র লীগ,যুবলীগ,এবং আওয়ামী লীগের দোসর নিয়োগ দেওয়ার কারণে তারা আওয়ামী লীগ নিয়ে মায়া কান্না করছে।
সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে কাজ করে। সরে জমিনে ঘুরে জানা যায় পরশুরাম উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ ৩০ হাজার গ্রাহক রয়েছে।
ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর থেকে সারা দেশে শেখ হাসিনার এবং তার দলের ফলক সহ টাঙানো ছবি সরিয়ে ফেলা হয়।কিন্তু এখনো বাদ হয়নি পরশুরাম উপজেলা সাব জোনাল অফিসের বিদ্যুৎ বিলে শেখ হাসিনা উন্নয়নের স্লোগান। ফেব্রুয়ারী মার্চ মাসের বিলের কাগজেও তা এখনো দৃশ্যমান রয়েছে।
এই নিয়ে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা,বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে চলছে ক্ষোভ ও আলোচনা ও সমালোচনা ঝড়।যে কোনো সময় এই নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হালিম মানিক জানান, খুনি হাসিনার পতনের ৮ মাস পর উন্নয়নের স্লোগান বিদ্যুৎ বিলে প্রচার চলছে। যা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক।গত পনেরো বছর আমরা যে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছি।
গত ৮ মাসে আওয়ামীলীগের পতনের পর তাদের কিছুই হয় নি। যারা হাসিনার উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। গত পনেরো বছরের ন্যায় এখনো বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বহীনতা নিয়ে কাজ চলছে। স্বৈরাচারের বিদায় হয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচারের দোসররা বিদায় হয়নি।
এবিষয়ে প্রশাসনের নজরে এনে দ্রুত সংশোধন করা উচিত। রায়হান নামে এক গ্রাহক বলেন,সব জায়গা থেকে ফ্যাসিষ্ট হাসিনার নাম বাদ দিলেও বিদ্যুৎ বিলের কাগজে আওয়ামী লীগের উন্নয়নের স্লোগান বাদ যায়নি এখনো প্রচার চলছে।এটা দ্রুত সমাধান করা দরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বক্স মাহমুদ ইউনিয়নে নরনিয়া গ্রামে এক শিক্ষক জানান গত পনেরো বছর আওয়ামী লীগের যন্ত্রনায় শেষ পর্যন্ত শিক্ষা আঙ্গন পর্যন্ত বাদ যায়নি। এখনো তাদের ভুয়া উন্নয়ন প্রচার চলে। কোনো ক্রমে মেনে নেওয়া যায় না।একজন ফ্যাসিবাদী ব্যাক্তির নাম কেন থাকবে। এই দেশ জনগণের দেশ।কারোর বাপের না।এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও আরিফুর রহমান জানান, ডিজিএম কে জানান আমি দেখব।

