নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ফেনীতে মাঠ পর্যায়ে শতাধিক ইমামদের নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১০ ডিসেম্বর সকালে জেলা মডেল মসজিদ কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মুহাম্মদ শামসুল আরেফিনের সঞ্চালনা, প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মঞ্জুর আহসান, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম, ফেনী আলীয়া মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ মাহমুদুল হক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল জামে মসজিদের ইমাম আনাস বিন ইদ্রিস।
আলিয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল বলেন মানুষ বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাদ্য গ্রহন করা জরুরি,তেমনি বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য খাওয়া অপরিহায্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভোজাল খাদ্য বাজারজাত ও উৎপাদন করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিয়ে সরকার বহু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতায় সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে ব্যবসায়ী ক্রোতা বিক্রোতাদের সচেতন করছে। কিছু কিছু ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ইমামরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক আলোচনার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো:আছাদুল ইসলাম বলেন,সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সচেতন হলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হবে, শুধু মাত্র জরিমানা করে সরকারের একার পক্ষে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন একজন ভোক্তা যে কোন পন্য ক্রয় করার আগে উৎপাদন, মেয়াদোত্তীর্ণ, মূল্য সংযোজন আছে কিনা মান যাচাই করে ক্রয় করে ভেজাল খাদ্য বয়কট করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মঞ্জুর আহসান বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সমাজে ইমামদের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারন প্রতিটি সমাজে একজন ইমাম সমাজের এক সঠিক বার্তা বাহক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে, কোন খাবারটি ভেজাল, কোন খাবারটি পুষ্টি সমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য, ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রি করলে কোরআন হাদিসের আলোকে মসজিদে আলোচনা করলে প্রতিটি সমাজ থেকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সহযোগী হিসাবে সরকারের পাশে ভূমিকা রাখা যাবে। এজন্য ইমামদের সঠিক ভূমিকা পালন করতে হবে।

