ফেনী সদর হাসপাতাল একটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল হলেও সেখানে প্রত্যাশিত মানের স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ঘাটতি, আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব ও কিছু বিভাগে সীমিত কার্যক্রমের কারণে রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো অনুযায়ী ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে সেকেন্ডারি লেভেলের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত থাকার কথা। এ ধরনের হাসপাতালে মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি ও প্রসূতি, শিশু, অর্থোপেডিকস, চক্ষু, নাক-কান-গলা, চর্ম, ডেন্টালসহ অন্তত ২০টির বেশি চিকিৎসা ও সহায়ক বিভাগ পূর্ণাঙ্গভাবে চালু থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে সব বিভাগ কার্যকর নয়।
হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগে দাঁত ব্যথা, দাঁত তোলা, ফিলিং, মাড়ির রোগের চিকিৎসাসহ জরুরি দন্তসেবা দেওয়ার কথা থাকলেও নিয়মিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। অভিযোগ রয়েছে, ডেন্টাল সার্জনের স্বল্পতা ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে স্কেলিং ও ডেন্টাল এক্স-রে সুবিধা অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। ফলে অনেক রোগী বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালের আইসিইউ সুবিধা সীমিত হওয়ায় গুরুতর রোগীদের অনেক সময় অন্যত্র রেফার করা হয়। এছাড়া কার্ডিওলজি, নিউরোলজি ও মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের সেবাও পূর্ণাঙ্গ নয়। রোগীর চাপের তুলনায় শয্যা, নার্স ও সহায়ক জনবল কম থাকায় সেবার মান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান সেবাগ্রহীতারা।
রোগীদের কথা চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী বলেন, “সরকারি হাসপাতালে কম খরচে চিকিৎসা পাওয়ার আশায় আসি। কিন্তু অনেক পরীক্ষা বা চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো হয়।”
নাগরিকদের দাবি সচেতন নাগরিকরা বলছেন, ফেনী সদর হাসপাতাল জেলার লাখো মানুষের প্রধান ভরসাস্থল। দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ, ডেন্টাল বিভাগ আধুনিকীকরণ, আইসিইউ ও ডায়াগনস্টিক সুবিধা সম্প্রসারণ এবং রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিত করা জরুরি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ ও কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছেন জেলার সাধারণ মানুষ।

