ফেনীতে মোমবাতি প্রজ্বলনে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছে ফেনী বন্ধুসভা। রোববার সন্ধ্যায় ফেনী সরকারী কলেজ বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে ১১জন বুদ্ধিজীবীর স্মরণে ১১টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
ফেনী বন্ধুসভার সভাপতি জান্নাত আক্তার জাহানের নেতৃত্বে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রথম আলো’র ফেনী প্রতিনিধি ও বন্ধুসভার উপদেষ্টা নাজমুল হক শামীম।
উপস্থিত ছিলেন বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নুর উদ্দিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক তন্ময় নাথ টিটু, কার্যনির্বাহী সদস্য মনিকা রায়, দেলোয়ার হোসেন, বন্ধু জিহাদ মজুমদার, মো. আবুল হাসান শাহিনসহ বন্ধুসভার বন্ধুরা।
এরআেগে বিকেলে শহরের মিজান রোডস্থ আলিয়া মাদ্রাসা মার্কেটের প্রথম আলো অফিসে বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি প্রথম আলো’র ফেনী প্রতিনিধি ও বন্ধুসভার উপদেষ্টা নাজমুল হক শামীম বলেন, ‘৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর পাকহানাদার বাহিনীরা যে সকল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে তার মধ্যে ফেনীর শহীদ শহীদুল্লা কায়সার, শহীদ জহির রায়হান, শহীদ সেলিনা পারভীন, শহীদ ড. আনম ফজলুল হক মহি, শহীদ ডা. ক্যাপ্টেন বদিউল আলম চৌধুরী, শহীদ ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল আনোয়ার, শহীদ ডা. মেজর রেজাউর রহমান, শহীদ ড. সিদ্দিক আহমেদ, শহীদ ড. সিরাজুল হক খাঁন, শহীদ ড. রফিক আহমেদ, শহীদ ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল আনোয়ার ও শহীদ ইঞ্জিনিয়ার সেকান্দার হায়াত চৌধুরী রয়েছেন। পাক হানাদাররা ফেনীর এই ১১জন কৃতি সন্তানকে হত্যা করে ফেনীকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল। ‘
ফেনী বন্ধুসভার সভাপতি জান্নাত আক্তার জাহান বলেন, ‘বিজয়ের দু’দিন পূর্বে ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে পাক হানাদাররা বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে নির্বচারে গণহত্যা করে জাতীকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে আমরা হানাদের পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছি। আমারা বুদ্ধিজীবীদের আজীবন স্মরণ করবো। এজন্য ফেনীর ১১জন বুদ্ধিজীবীর স্মরণে ১১টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।’
বুদ্ধিজীবী দিবসের আয়োজনে বন্ধুসভার উপদেষ্টা, কমিটির সদস্যবৃন্দ ও নতুন বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।

