পরশুরামে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত। মহান বিজয় দিবস পূর্তিতে দিবসের প্রহরে ভোর ৬ টা ২৮ মিনিটে বিলোনিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনি মধ্যে দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঐতিহাসিক বিলোনিয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দল, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এসময় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা,কুচকাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়াই বিজয় দিবসের মূল লক্ষ।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের মানুষ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতি বছরের ন্যায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া সুলতানা।
উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরান হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরশুরাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম শাফায়াত আকতার নূর,বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র আবু তালেব,পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আশরাফুল ইসলাম,মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার কামাল উদ্দিন খন্দকার, পরশুরাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমএ হাসান, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল হালিম, ও ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল ইসলাম।
বিজয় দিবস উপলক্ষে পুরো পরশুরাম উপজেলা সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। সরকারি-বেসরকারি ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারীদের মাঝে অতিথিদের হাত থেকে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।

